মাসুদ আলম: [২] ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর রাতারাতি দেশের বাজারে একলাফে পেঁয়াজের দাম প্রায় ডাবল হয়ে যায়। সংকট না থাকলেও অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তবে বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশীয় মুুড়িকাটা  নতুন পেঁয়াজ। দাম তুলনামূলক কিছুটা কম হওয়ায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন নতুন পেঁয়াজের দিকেই। ফলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ মজুতকারীরা। কেজিতে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৮০ পর্যন্ত টাকা কমেছে। 

[৩] আর বেশি দামে কিনে রাখায় বাধ্য হয়ে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ। এমনকি পঁচতেও শুরু করেছে অনেকের পেঁয়াজ।

[৪] বুধবার রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি মুড়িকাটা  পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। দেশী পুরাতন পেঁয়াজ দোকানভেদে  বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। কারওরান বাজারে দেশি পুরান পেঁয়াজ ৫ কেজি ৬৭৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত ৪ দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৯০  থেকে ২১০ টাকা বিক্রি হয়েছিলো। 

[৫] ভাটারা নতুনবাজার কাঁচাবাজারের সোহাগ বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ও দেশি পুরান পেঁয়াজ ১৬০ টাকা কেজি। হয়তো সামনে আরও দাম করবে। 

[৬] ভাটারা নুরেরচালা ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা। তাই দেশি ২০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।  বর্তমান পাইকারী বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। দাম বেশি থাকায় বিক্রিও কমেছে। 

[৭] খিলক্ষেতের বাসিন্দা ডলি বেগম বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসায় দাম কিছুটা কমেছে। আমার মতো মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের জন্য কিছুটা ভালো হয়েছে। তারপরও মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি অনেক দাম। দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  সম্পাদনা: ইকবাল খান